গারো

পঞ্চম শ্রেণি (ইবতেদায়ী) - বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় - বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী | | NCTB BOOK

ধারণা করা হয় গারো জনগোষ্ঠী প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর পূর্বে ভিকাত থেকে এসে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাস শুরু করেন।

ভাষা : গারোদের নিজস্ব ভাষার নাম আচিক বা গারো ভাষা । 

ধর্ম : গারোদের আদি ধর্মের নাম সাংসারেক। তবে বর্তমানে বেশিরভাগ গারো খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী। 

সমাজ ব্যবস্থা : পারো সমাজ মাতৃতান্ত্রিক, অর্থাৎ নারীরাই পরিবারের প্রধান এবং সম্পত্তির অধিকারী। মাতার সূত্র ধরেই তাঁদের দল, গোত্র ও বংশ গড়ে ওঠে। 

খাদ্য : গারোদের প্রধান খাবার ভাত, মাছ, মাংস ও বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি। তাঁদের ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার বাঁশের কোড়ল দিয়ে তৈরি করা হয় যা খেতে অনেক সুস্বাদু। 

ৰাঁড়ি : পূৰ্বে গারো জনগোষ্ঠীর লোকেরা নদীর তীরে লম্বা এক ধরনের বাড়ি তৈরি করতেন যা নকমান্দি নামে পরিচিত। তবে বর্তমানে তারা অন্যদের মতোই করোগেটেড টিন এবং অন্যান্য উপকরণ দিয়ে বাড়ি তৈরি করেন। 

পোশাক : গারো নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের নাম সবান্দা ও দসারি। পুরুষেরা শার্ট, লুঙ্গি, ধুতি ইত্যাদি পরিধান করেন । 

উৎসব : গারোদের ঐতিহ্যবাহী উৎসবের নাম ওয়ানগালা। এই সময়ে তাঁরা সূর্য দেবতা সালজং এর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতাস্বরূপ নতুন শস্য উৎসর্গ করেন। সাধারণত নতুন শস্য ওঠার সময় অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে উৎসবটি হয়। উৎসবের শুরুতে তাঁরা উৎপাদিত শস্য অর্ঘ্য হিসেবে নিবেদন করেন এবং বিভিন্ন ধরনের বাদ্য বাজনা বাজিয়ে এই উৎসবটি পালন করা হয়।

 

ক. এসো বলি

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্পর্কে যা জানো আলোচনা কর।


খ. এসো লিখি

পারো জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার যে পরিবর্তন এসেছে সেগুলোর মধ্যে দুইটি উল্লেখ কর।


গ. আরও কিছু করি

১৮৭২ সালে গারো জনগোষ্ঠী ইংরেজদের সাথে যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন। গারোদের হাতে ছিল শুধু মিল্লাম আর ইংরেজদের হাতে ছিল বন্দুক। সে সময়কার দুইজন পারো বীর যোদ্ধা টগান নেংমিনজা ও সোনারাম সাংমা। মনে কর এই যুদ্ধ নিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়েছে। চলচ্চিত্রটির জন্যে একটি পোস্টার আঁক ।


ঘ. যাচাই করি

উপযুক্ত শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ কর :

ধারণা করা হয় পারো জনগোষ্ঠী…………………..….. থেকে এসেছেন এবং তাদের আদি ধর্মের নাম.……………………….…।

Content added By

Read more

Promotion